হাজারো শিক্ষার্থীর নামের পাশে অটো-পাশের ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে বিদায় নিল ২০২০।

পাশাপাশি ফিরে এল মসলিন শাড়ি।

হাজারো যুবকের রাতের ঘুম হারাম করছে এই মসলিন নামক ঐতিহ্যবাহী শাড়িটি।

বিশেষ করে প্রেমিক প্রেমিকারাতো অনলাইন শপগুলোতে প্রি-অর্ডারও করতে চাচ্ছেন।

সবার চোখেই একই স্বপ্ন বেনারসি আর লেহেঙ্গা বাদ দিয়ে মসলিন গায়ে জড়িয়ে প্রিয় মানুষটার ঘরে যাওয়ার।

কেউ কেউ মসলিন পরিহিত অবস্থায় দেখতে চাচ্ছেন নিজেদের ক্রাশকে।

কেউবা অপেক্ষায় আছেন মসলিন গায়ে জয়া আহসানকে এক ঝলক দেখার জন্য।

    Related: রম্য: ট্যালেন্ট অব দ্য ইয়ার

এদিকে “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” গানের গীতিকার লিখতে বসে গেছেন গানটির প্রো ভার্শন, “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, পায়ে দিয়ে সোনার নূপুর, মসলিন গায়ে কোন রূপসী হেটে যায়?”

বন্ধু রবিনের সদ্য জন্ম নেয়া বোনটার নাম রুবিনা না রেখে মুসলিনা রেখেছে।

মসলিন শাড়ি নাকি ম্যাচের বাক্সে রাখা যায়। এটা শুনে আমাদের পাগলা বাজারের কয়েকজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে গেছেন

কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানতে পারলাম ম্যাচের বাক্সের মত ছোট জায়গায় শাড়ি রাখতে পারলে নাকি তাদের আলমারি আর ওয়ারড্রব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে!

এদিকে কোথাও শপিং এ গেলে ভ্যানিটি ব্যাগে করেই প্রচুর শাড়ি কিনে আনতে পারবেন অনায়াসে এটা ভেবে মিষ্টি বিতরণ করছেন বিলকিস ভাবী।

আর হন্তদন্ত হয়ে ক্রেডিট কার্ড লুকানোর জায়গা খুঁজছেন শরীফ ভাই! দুটো রসগোল্লা মুখে পুড়ে উপভোগ করছি এই বিউটিফুল দৃশ্যটি।

    Related: রবি ঠাকুরের সাক্ষাৎকার নিতে টাইম মেশিনে ভ্রমণ!

পাশের বাড়ির সোবহান দাদার বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাদীমা একটা মসলিন শাড়ি পড়ার আব্দার করেছেন।

বেচারা দাদা কোনো ভাবেই দাদীকে বুঝাতে পারছে না যে, মসলিন শুধু ফিরেই এসেছে। এখনো বিক্রি করার উপযুক্ত হয়নি।

দাদীমা ফুঁপিয়ে কেঁদে কেঁদে বলছেন তিনি নাকি দুনিয়াতে আর মসলিন শাড়ি পড়ে যেতে পারবেন না। তাই দাদীমাকে বিজ্ঞের মত সান্ত্বনা দিলাম, “ আপনি নিশ্চিন্তে মরতে পারেন! কিছুদিন পর দাদা শাড়ি কিনে নিয়ে স্বর্গে আপনার সাথে দেখা করবেন।”

এরপর থেকে কেন জানি দাদীমা ঐ বাড়িতে আমার জন্য কারফিউ জারি করেছেন!

সবশেষে বলতে হয়, আদু ভাই বেঁচে থাকলে হয়ত আজকে মাত্র ১ বছরেই ৮ম শ্রেণীতে অটো-পাশ করে একহাতে ৯ম শ্রেণীর বই অন্যহাতে আদুভাবীর জন্য একটি মসলিন শাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরত!


- আতিকুর রহমান

(১ জানুয়ারী, ২০২১)