আমেরিকা যে যুদ্ধ পছন্দ করে সেইটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রই (আমেরিকা নামেই পরিচিত) প্রমাণ করেনি। বরং পুরো দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশই তার প্রমাণ দিতেছে এবং তা আন্তর্জাতিক ভাবেই।

বলতে পারেন যে দক্ষিণ আমেরিকা আবার কোথায় যুদ্ধ করল? বা তারা যে উগ্রবাদী তার প্রমাণ কি?

প্রমাণ হল “কোপা আমেরিকা” টুর্নামেন্ট। দেখুন তাদের নামটাই “কোপা” শব্দ দিয়া শুরু হইছে।

“কোপা” শব্দটা শুনলেইতো চোখের সামেনে রাম দায়ের ছবি ভেসে উঠে। আর সিনেমার “কোপা শামসু কোপা” ডায়লগটা কানে বাজে।

তো এমন একটা উগ্র, সন্ত্রাসী নাম দিয়া শুরু হওয়া টুর্নামেন্ট নিয়া বাংলাদেশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা সমর্থকরা মারামারি, হানাহানি করবে নাতো বসে বসে বাদাম খাবে আর খেলা দেখবে?

যদিও আমি ফুটবল খেলা দেখি না তবু অনলাইনে আসতে পারছি না এই দুই দলের সাপোর্টারসদের কারণে। অনলাইনে ঢুকলেই দুই দলের পাল্টা-পাল্টি পোস্ট আর কমেন্টের ভিড়ে ঠাঁই পাওয়া যায় না।

শুনেছি অফলাইনেও নাকি কিছু কিছু জায়গায় এসব আবেগ হাতাহাতিতেও গড়িয়েছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগজনক।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৮০ এর পরে থাকা বাংলাদেশের মানুষ যে ফুটবলে দুর্বল তা অনেক আগে সাহিত্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। কারণ সাহিত্য জাতির দর্পণ স্বরূপ।

যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বল দাও, মোরে বল দাও” বাক্যের মাধ্যমে ফুটবলের প্রতি উনার ভালবাসা লক্ষ্য করা যায়। এটাও বুঝা যায় যে, তিনি ফুটবল খেলায় দুর্বল ছিলেন। নাহলে বলের জন্য মাঠে দাঁড়িয়ে এভাবে কাঁদতেন না।

এ থেকে বুঝা যায়, উপমহাদেশের মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই ফুটবল খেলায় অপারদর্শী কিন্তু অতি আবেগী। মানুষের এই আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা ফেঁদেছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ।

তারা তাদের এই উগ্রবাদী শব্দ “কোপা” ব্যবহার না করে যদি ”শান্তির আমেরিকা”  নামে টুর্নামেন্টের নাম দিত তাহলে বাংলাদেশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার ফাইনাল খেলা নিয়ে এত উগ্র আচরণ না করে সবাই শান্ত পরিবেশে বসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলা উপভোগ করতো। আর আমরাও নির্বিঘ্নে অনলাইনে বিচরণ করতে পারতাম।

- আতিকুর রহমান

(০৭ জুলাই, ২০২১)