ফেসবুক থেকে সাময়িক বিরতি নিতে চান কে কে? হাত তুলেন তো দেখি!


আমার কাছেও ফেসবুক মাঝে মাঝে বিরক্তিকর লাগে। তাই ছেড়ে দিতে চাই। এজন্য প্রায়ই ফেসবুক ছেড়ে দেই। এটা অনেকটা মার্ক টোয়েনের বলা সেই বিখ্যাত উক্তির মতো,


“ধুমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ। আমি নিজে অনেকবার করেছি।”


ফেসবুককে বারবার ছেড়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আবার ধরে ফেলতে হয়। 


তবুও মাইলের পর মাইল স্ক্রল করে কখনো কখনো আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই। কিন্তু ডোপামিন নিঃসরনের তাড়নায় আবার এক্টিভ হই। তাই না?


আচ্ছা, এখন ফেসবুক থেকে বিরতি নিতে আমি যেগুলো ফলো করি তেমন কিছু নিয়ম / টোটকা শেয়ার করি। গতকাল হৃদয় ভাইয়ের কমেন্ট বক্সেও শেয়ার করেছিলাম। আশাকরি আপনাদের কাজে আসবে।



১. চেষ্টা করি বই পড়ার জন্য। হাতে লিখে গোল সেট করি। যেমন, আজকে এত পৃষ্ঠা পড়বো। তাহলে সেই লেখাতে টিক চিহ্ন দিলে যে ভালো লাগা কাজ করে সেটাই অনেক বড় মোটিভেশন হিসেবে কাজ করে।


২. News Feed Eradicator এক্সটেনশন ব্যবহার করি। তাহলে ফেসবুকে ঢুকলে কোনো নিউজফিড পাওয়া যায় না। সবকিছু গায়েব! কিছু পড়তে হলে সার্চ বারে সার্চ দিয়ে বের করতে হয়। তাই বেশি সময় ফেবুতে থাকতে ভালো লাগে না। মোবাইলে FB News Feed ব্লক করার জন্য News Feed Eradicator for Android লিখে সার্চ করলে প্রথমে যেটা আসবে সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।


৩. সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে মাইন্ডসেট। যদি ফেসবুক থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে দৃঢ় মানসিক শক্তি না থাকে তাহলে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যায়।


৪. ফেসবুক থেকে দূরে থাকলে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কাজ করে সেটি হচ্ছে FOMO Effect. মানে আমি কিছু মিস করে ফেলছি কি না এই ভয়। তাই নিজেকে বুঝাতে হবে যে, এতসব আপডেট মিস করলেও আমার কোনো ক্ষতি নেই।


৫. কথায় আছে প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই ফেসবুক স্ক্রলিং এর অভ্যাসটা অন্য অভ্যাস দিয়ে রিপ্লেস করতে হবে। এজন্য স্ক্রলিং এর ইচ্ছা হলে কোনো বন্ধুকে ফোন করে কথা বলা যায়। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা যায়। তাহলে ভালো লাগবে।


৬. ক্রিয়েটিভ কিছু করলে সময়টা ভালো কাটবে। তাহলে ফেসবুকের কথা সহজে মনে আসবে না।


আমি ফেসবুক থেকে দূরে থাকতে চাইলে সাধারনত এগুলোই ফলো করি।  আপনিও করতে পারেন। আপনি কোন কোন পদ্ধতি ফলো করেন কমেন্টে জানান।