বিরাট গরু হাট দেখতে এসেই টাশকি খেলাম। সব ক্রেতা ষাঁড় গরু কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।

অথচ গাই গরুর কাছে একটা ক্রেতাও নাই।

গাইয়ের মালিকেরা লুঙ্গী কাছা দিয়া দুপায়ে ভর দিয়ে বসে বসে বিড়ি ফুঁকছেন।

এক গাইওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম,

- আপনার গরুর দাম কত উঠছে?

- আপনেই পয়লা ঘাউক(ক্রেতা)। আপনেই দাম কন।

মনে মনে বললাম, আসছি একটু সহানুভূতি দেখাইতে উল্টা আমারেই বলতাছে গরু কিনতে। এখান থেকে দ্রুত ভাগলাম।

বাজারে যখন গাই দেখে ষাঁড়েরা গাইটিজিং(!) শুরু করে তখন ষাঁড় মালিকেরা গাই মালিককে গালাগাল করে।মনে হয় তারা যেন অধিকারহীন।

    Related: রম্য: কিপ্টুস দাদার খাসি

আমার সাথে আবার এক নারীবাদী বন্ধু। সে এতক্ষন এসব দেখতে দেখতে নারী অধিকার নিয়া লেকচার দিতে দিতে কান ঝালাপালা করে ফেলছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম,

- কোরবানীর জন্য গরু কিনছস?

- হ্যাঁ একটা বড় ষাঁড় কিনছি।

- তাইলে এতক্ষন যে নারী অধিকার নিয়া লেকচার দিলি। গাই গরু তো নারী প্রজাতি। তোর কি উচিত ছিল না গাই গরু কিনে নারী অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো?

আমার নারীবাদী বন্ধুটি এখনো নীরব,নিস্তব্ধ হয়ে গরুর হাটের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। আর মুখটা আমাবস্যার নিশীথ অন্ধকারের মত করে রেখেছে। কখন না জানি বিড়ালের মতো গর্জন করে উঠবে সেই ভয়ে আছি!


- আতিকুর রহমান

(৩০ জুলাই, ২০২০)