অবাধ্যতার ইতিহাস
অবাধ্যতার ইতিহাস


কে আমি? কি আমাদের পরিচয়? পশ্চিমা চোখ ধাঁধানো আভিজাত্যের বিপরীতে ভারতবর্ষের এই অবস্থা কেন?

বইটি পড়তে গিয়ে পদে পদে উপলব্ধি করেছি আমাদের ইতিহাস জ্ঞানের স্বল্পতা, অন্যের শেখানো ইতিহাস, নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে হীনমন্যতার পেছনের রহস্য!

কিভাবে ১৭০০ সালে বাদশাহ্ আওরঙ্গজেব (রহি.) এর শাসনামলে একাই বিশ্বের ৪ ভাগের ১ ভাগ জিডিপির জোগান দেয়া ভারতবর্ষ ইংরেজদের আগ্রাসনে মাত্র কয়েকদশকে রাজা থেকে ফকির হয়ে গেল?

কেন ও কিভাবে ইংরেজ আমলের প্রথম ৮০ বছরেই ১২টা দূর্ভিক্ষে ৬০ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেল? কেন ১৯০০ সাল পর্যন্ত মোট ৩১টা দূর্ভিক্ষে ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ জীবন দিলো?

(চিন্তা করুনতো আজকের আমেরিকাকে কি পরিমাণ লুট করলে ৪কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে? অথচ আমাদের সাথে তাই হয়েছে।)

কিভাবে আমাদের নিজস্ব উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে লর্ড মেকলের তৈরি শিক্ষা ব্যবস্থায় ঠেলে দেওয়া হলো আমাদের? কেন? কার লাভের জন্য?

কেন শতবর্ষব্যাপী ইউরোপের অন্যতম লাভের দা*স ব্যবসা ১৮০০ সালের পরপর হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলো? কি ছিলো এর পেছনে? স্রেফ মানবতা নাকি অন্য কিছু?

কেন ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ জয়ের পর ১৭৭০ সালে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব হলো? শুধুই জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিনের জন্য নাকি অন্য কিছুও ছিলো পর্দার আড়ালে?

এরকম অনেক “কেন?” এর উত্তর পাবেন এই বই থেকে। জানতে পারবেন আত্মপরিচয়। এবং এটা নিশ্চিত করে বলা যায় বইটি পড়ার আগের আপনি এবং পরের আপনির মাঝে অনেক পার্থক্য পাবেন। 

এমনকি নিজের এতদিনের গতানুগতিক চিন্তাধারা নিয়েও চিন্তুায় পড়ে যেতে পারেন। 

যাদের বই পড়ার অভ্যাস আছে তারাতো বটেই আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকেরই ২৬১ পৃষ্ঠার এই বইটি পড়া আবশ্যিক। হ্যাঁ, আবশ্যিকই বটে।

বই: অবাধ্যতার ইতিহাস

লিখেছেন: ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি


Releted: ক্যারিয়ার ক্লাব কি? কেন প্রয়োজন?

Releted: নামাযের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা