বাংলা একাডেমি যদি এভাবে বানান পরিবর্তন করতে থাকে তবে নীচের শব্দগুলোর বানানের কি অবস্থা হবে তার কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরলাম :

ঘোড়া - গোড়া

হাঁস - হাশ

মহিষ - মোহিশ

মুরগী - মোড়গি

অবস্থা - অবস্তা

কাজ - কাঝ

আম - য়াম

জাম - ঝাম

কমলা - কমোলা

উপহার - ওপহার

সময় - সমোই

উঠান - উঠাণ

চাঁদমামা - চান্দুমামা

ফেইসবুক - ফেইজভুক

ফুটবল - ফোটবল

জন্মদিন - ঝন্মদিন

এরকম আরো উল্লেখ করলাম না। তাহলে স্ট্রোক করতে পারেন।

এরপর থেকে কাওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হলে এভাবে চিঠি লিখতে হবে :

প্রীয় ভন্দু,

শোভ ঝন্মদিন। য়াশাকরি ভালো আছু। তুমাড় ঝন্মদিনে য়ামার পক্খ থেকে অনেক অনেক শোবেচ্ছা।

তুমাকে য়ামি একটি ওপহার পাঠিয়েসি। তুমি নিশ্চই খোশি হইসো। য়ামাদের বাড়ীতে বেরাতে য়াইসো। তুমার মা-বাবাকে য়ামার সালাম দিয়ু। আর সোটদেরকে স্নেহো ও ভালুবাসা দিয়ু।

ইতি

তুমার ভন্দু, 

আতিক

ভয়ে আছি কবে জানি বলবে মানুষের নামের বানানও বাংলা একাডেমির নিয়মানুযায়ী হতে হবে।

আমার নামের বানান হবে : য়াতিকুর রহোমান!


(১৫ জুলাই, ২০২০)