হন্তদন্ত হয়ে বাজারের দিকে ছুটছে আবুল মিয়া। মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এসেছে এইমাত্র।

বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ অফিসার আবুল মিয়াকে দেখে কাছে ডেকে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাইলো। মুভমেন্ট পাসে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কারণ দেখেতো ম্যাজিস্ট্রেটের চক্ষু চড়কগাছ।

মানুষ পুলিশ আর ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে ১০ হাত দূর দিয়া যায় আর আবুল মিয়া তাদের সাথে দেখা করার জন্যই বাড়ি থেকে বের হইছে!

তো ম্যাজিস্ট্রেট আবুলকে জিজ্ঞেস করলো,

- আপনি এই অসময়ে আমাদের সাথে দেখা করতে বের হয়েছেন?

- হ স্যার।

- কেন আমাদের সাথে দেখা করতে চান?

- স্যার, আমার বাড়িতে গৃহযুদ্ধ লাগছে।

- সেটাতো আপনাদের পারিবারিক ব্যাপার। আমরা কি করতে পারি?

- আরে স্যার আপনাগরে নিয়াইতো ঝগড়াঝাঁটি লাগছে।

- আমাদেরকে নিয়ে? কি বলছেন এসব?

- তার আগে কইন আপনের আর পুলিশ অফিসারের মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে কি না?

ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব একটু হতচকিয়ে গিয়ে পুলিশের সাথে চাওয়া-চাওয়ি করলো । তারপর বলল,

- দুঃখিত আমাদের কারো বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন। কিন্তু কেন?

- হইছে কি স্যার, গতকালকে ডাক্তারনী, ম্যাজিস্ট্রেট আর পুলিশের মুক্তিযোদ্ধা বাবা নিয়া ভিডিও দেইখা আমার বিবিরও শখ হইছে সেও এইরম ভিডিও করবো।

- আস্তাগফিরুল্লাহ। আপনার স্ত্রীর বাবা কি মুক্তিযোদ্ধা?

- হ স্যার। কিন্তু সমস্যা একটাই তারতো আর নিজের গাড়ি নাই তাই একটা অটোরিকশা আর একজন ক্যামেরাম্যান ঠিক করা আছে। শুধু আপনেরা দুজনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা হইলেই হইতো। কিন্তু কি আর করা? যাই বাড়িতে গিয়া গৃহযুদ্ধ সামলাই!


- আতিকুর রহমান।

(১৯ এপ্রিল, ২০২১)