ইন্টারমিডিয়েট তো পাশ করে গেলাম!

তবে কেউ কেউ খোঁচা মারতেও ছাড়ছেন না। তারা বলছেন আমরা নাকি ফ্রিতে বিনাপরিশ্রমে পাশ করে গেছি। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আমরা কি ইন্টারমিডিয়েটের ২ টি বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছি?

এতগুলো বই পড়ে কলেজে অভ্যন্তরীন মাসিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে সেমিস্টার পরীক্ষা, ইয়ার চেন্জ, প্রি-টেস্ট, টেস্ট সবগুলো পরীক্ষা দিতে দিতে জীবনটা কয়লা বানায়া ফেলছি। মাসিক পরীক্ষায় ফেল করলে সেমিস্টার পরীক্ষায় ফেল আসে। এমন ফেল করার হুমকিকে মোকাবিলা করেই ফাইনাল পরীক্ষার দরজায় কড়া নাড়ছিলাম।

ঠিক তখনই করোনা তার ভয়াল থাবা পিছিয়ে দিল আমাদের পরীক্ষা। এতে আমাদের কি
করার ছিল
?

    Related: আর কত বিড়ম্বনা সইতে হবে এইচএসসি ব্যাচ-২০২০ কে?

এখন নভেম্বরে যদি পরীক্ষা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হতাম তাহলেও সমালোচনাকারীরা সরকারের সমালোচনা করত।

ভবিষ্যতে আমাদের ব্যাচের চাকরির বাজারে
যে রকম অবস্থা হবে বলে অনেকের ধারনা

আমার মতে সমালোচনা করাটা মুখের ব্যায়াম। আর সবাই তো জানিই যে, ব্যায়াম স্বাস্থের পক্ষে উপকারী।

যাই হোক,  পরীক্ষার সময় আমরা পরিক্ষার্থীদের সালামী বাবদ ভালোই আয় হয়। পকেট গরম থাকে। কিন্তু এবার করোনার কারনে এবার আমাদের পকেটে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করতেছে। Very Sad!!