গত মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আওলিয়ানগর স্টেশন পেরিয়ে কিছুদূর যেতেই রেললাইনের পাশে একটি বাড়ি চোখে পড়ল। বাড়িটির চারপাশ টুকটুকে লাল জবা ফুলের গাছে ঘেরা।
লক্ষ্য করলাম আশেপাশের বাড়িগুলোর চারপাশেও দু-চারটি করে জবা ফুলের গাছ রয়েছে যা এই বাড়িগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
হঠাৎই ভাবলাম যদি এই বাড়িটাতে জবা ফুলের গাছের সমাহার না থেকে যদি মদের আখরা থাকত তবে কেমন হত? নিশ্চয় আশেপাশের বাড়িসহ পুরো এলাকার যুবক থেকে বৃদ্ধ সকলকেই এর ধ্বংসলীলার মরণকামড় বসাতো! হয়তো ট্রেন থেকে দেখতে পেতাম না তবে ব্যপারটি কিন্তু ঘটতোই।
Related: মানুষের আন্তরিকতা মাটির উর্বরতার ওপর নির্ভর করে
আমরা বইয়ে অনেক পড়েছি যে, এলাকায় একজন জ্ঞানী মানুষ থাকলে তিনি অন্যদেরও প্রকৃত জ্ঞানার্জনে উদ্ভুদ্ধ করেন। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ যেভাবেই হোক না কেন। এরকম ভাবে এর উল্টোটিও সমানভাবে সত্য।
এঘটনা দিয়ে প্রকৃতি একটি বিষয় স্পষ্টভাবে শিখালো যে, আমরা যদি চোখ, কান খোলা রাখি তবে বইয়ে পড়া জিনিসগুলো দৃষ্টিসীমার ভেতরেই দেখতে পাব।
তখন কবি সুনির্মল বসুর লিখা কিছু লাইন মনে পড়ল, “বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা-রাত্র”।
উপলব্ধি করলাম, প্রকৃতি হলো জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। যদি তার কাছ থেকে শেখা যায়।
- আতিকুর রহমান।
(জুন ২৪, ২০২১)
0 Comments
Post a Comment